মহানবী (সাঃ) এর কার্টুন প্রকাশকে একটি গর্হিত অপরাধ বলে গণ্য করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। এ ঘটনায় বিশ্বের দুই শ’ কোটিরও বেশি মুসলমানসহ সকল ধর্ম-বর্ণের কোটি কোটি যুক্তিবাদী ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্র যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চলেছে বিএনপি তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির এ বক্তব্য তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি মনে করে যে, পবিত্র ইসলাম ও মহানবী (সাঃ) এর অনুসারীদের আবেগকে আহত করে বিশ্বব্যাপী যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে তা গোটা মানবজাতির ঐক্য ও মিলনের জন্য এক অনতিক্রমনীয় হুমকিতে পরিণত হয়েছে। এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধকে স্বীকৃতি দেয়ার মত মানবিক ও গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনের জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকেই উদ্যোগী হতে হবে। কারণ, ঘৃণা ও সন্ত্রাস-কোনোটাই বিশ্ববাসীর কাম্য নয়।
ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন কতৃক প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন ২০২০ বিষয়ে ইতিপূর্বে নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে আইন সংশোধনের যে প্রতিবেদন পেশ করেন তা কিছু সংশোধনের মাধ্যমে গৃহীত হয়। নজরুল ইসলাম খান এবং তার সহযোগী সদস্যদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যথাযথ সুপারিশ পেশ করার জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়। রোববার বিকেলে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে এ সংক্রান্ত পত্র হস্তান্তর করবেন। একই সাথে প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার আইনের পর্যালোচনা সহ সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপন উপলক্ষ্যে ইতিপূর্বে গঠিত বিএনপির কেন্দ্রীয় উদযাপন কমিটির পূর্নাঙ্গ ১১৫ সদস্যের কমিটি অনুমোদন করা হয়। সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের যথাযথ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য আহবায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর প্রচারাভিযানে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা এবং নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের নীরবতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করার আহবান জানানো হয়। আগামী ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিবের সাথে উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
শনিবারের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
Leave a Reply